কিছু ছবি আছে যা একদম সঠিক স্থানে সঠিক সময়ে তোলা। এগুলো দেখলে মনে হবে, চমৎকার ছবি তোলার জন্য ভালো ফটোগ্রাফার না হলেও হয়তো চলবে।শুধু আপনাকে সঠিক স্থানে সঠিক সময়ে ছবিটি তুলতে হবে। ফটোগ্রাফির দক্ষতা অবশ্যই আপনাকে এতে সাহায্য করবে, তবে সঠিক সময়ে সঠিক জায়গায় উপস্থিত থাকার সৌভাগ্য আর কয়জনের হয়!
পারফেক্ট টাইমিং ছবি তোলার পর তা অনেকেই শেয়ার করেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ব্লগ সাইটগুলোতে। এসব ছবি প্রথমবার দেখার পর হতে হবে বিভ্রান্ত। মনে হবে, বিশাল এক অসামঞ্জস্যতা রয়েছে ছবিটায়। ভালো মতো চোখ বুলালে বোঝা যাবে ছবির রহস্য। এবার এরকমই কিছু ছবি নিয়ে এ আয়োজন:
যারা হ্যারিপটার পড়েছেন বা দেখেছেন, তাদের কাছে হয়তো প্রাণীটাকে চেনা মনে হতে পারে। তবে এটা হিপোগ্রিফ নয়। হরিণটাকে পেছন থেকে আক্রমণ করছে একটা বিশাল আকারের পাখি। আর সঠিক সময়ে ছবিটা তোলার কারণেই মনে হচ্ছে, দৌড়াচ্ছে একটা ডানাওয়ালা ঘোড়া।
প্রথম দেখায় মনে হতে পারে ইনি বুঝি বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা কুকুর। আরেকটু ভালো করে লক্ষ করলে বোঝা যাবে ছবিতে আসলে দু’টি কুকুর রয়েছে।
এবার একটা ভৌতিক ছবি নিয়ে বিশ্লেষণ চলবে। ওপরের ছবিতে দেখা যাচ্ছে, চারজন ব্যক্তি ছবি তোলার সময় ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে পোজ দিচ্ছেন। ভয়ের ব্যাপার হলো, ফটোগ্রাফার তুলেছেন কেবল তিনজনের ছবি। মেমোরি কার্ড থেকে ছবিগুলো কম্পিউটারে নেওয়ার সময় দেখা গেলো ছবিতে চতুর্থ জনের উপস্থিতি। এখন প্রশ্ন, কে এই রহস্যময় চতুর্থজন?
ছবিটা ভালো করে দেখলে বোঝা যাবে বাম পাশ থেকে দ্বিতীয়জন আসলে পেছনের দেয়ালে ঝুলতে থাকা ছবিটার অংশ।
কারো দুইটার জায়গায় চারটা পা থাকলে ফুটবল খেলায় অভিনব সুবিধা পাওয়ার কথা। কিন্তু চারটা হাত ফুটবল খেলায় কী সুবিধা দেবে কে জানে? আসলে এই খেলোয়াড়ের হাত দু’টোই। পেছন থেকে আরেকজন তার মাথায় হাত দুটো রেখে সান্তনা জানাচ্ছেন।
দূরবর্তী গাছটাকে দেখে হরিণের মাথায় গজানো শিংয়ের মতো মনে হচ্ছে।
যদি কখনও দুই মাথাওয়ালা জিরাফ দেখতে পান, তব ধরে নিতে হবে আপনি বিশাল ভাগ্যবান। কারণ এখনপর্যন্ত কেউ দুই মাথাওয়ালা জিরাফ দেখেছে কীনা সন্দেহ। এমনকি ন্যাশনাল জিওফ্রাফির ম্যাগাজিনেও কখনও এরকম কিছু দেখায়নি।
দেখে মনে হচ্ছে কেমিক্যাল রিয়েকশনে পোকামাকড়ের আকৃতি বেড়ে গেছে বহু গুণ। মানব জাতির জন্য নেমে এসেছে বিপর্যয়। দৈত্যাকার পোকাদের মারতে চালানো হচ্ছে হেলিকপ্টার আক্রমণ। জুসের পাত্রের ওপর হেঁটে বেরানো পিঁপড়াটির থেকে অনেক দূর দিয়ে উড়ে যাচ্ছে হেলিকপ্টারটি।
কার কোলে আসলে কে উঠেছে, বুঝতে হলে একটু সময় নিয়ে দেখতে হবে ছবিটা।
কুয়াশার কারণে দূরের স্টেডিয়ামটাকে মনে হচ্ছে একটা মহাকাশযান, পৃথিবী ধ্বংসের চক্রান্তে নেমে আসছে।
হয়তো মনে হতে পারে, হাওয়ায় ভেসে বেরাচ্ছে একটা আজবদর্শন প্রাণী। আসলে একটি কুকুর দৌড়ানোর সময় মূহূর্তের জন্য পাগুলো অদৃশ্য মনে হয়েছিল। আর সেই সঠিক মুহূর্তটিই ফ্রেমবন্দি করেছেন ফটোগ্রাফার।