মোর্শেদ হোসেনঃ করোনার প্রভাবে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে বিশ্বজুড়ে সাড়ে ২৬ কোটি মানুষ অভুক্ত থাকতে হতে পারে। প্রায় ৩ কোটি মানুষ মারা যাওয়ার আশংকা রয়েছে। ৩৬টি দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে বলে জানিয়েছেন WFP। আর এই দেশগুলো হতে পারে পর্যটন ও রেমিট্যান্স নির্ভর দেশগুলো।
সুতরাং বাংলাদেশে অধিক খাদ্য ফলাও এই কথাটি আবারো বলার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা। এ ভয়াবহ পরিস্থিতিতে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করা ছাড়া কোন পথ নেই। দেশের বিপুল জনশক্তিকে কাজে লাগিয়ে সমস্ত অনাবাদি জমিকে আবাদের মধ্যে এনে কৃষি উৎপাদন বাড়াতে হবে।
দেশের প্রত্যেক জনপ্রতিনিধি, সামাজিক নেতৃবৃন্দ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, পেশাজীবী নেতৃবৃন্দ, ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ এক হয়ে ভবিষ্যৎ সংকট মোকাবেলায় প্রস্তুতি নিতে হবে।
সরকারের কৃষি বিভাগ থেকে উন্নত বীজ সরবরাহ ও এবং কৃষি জমি চাষবাদের ক্ষেত্রে পরামর্শ কার্যক্রম বৃদ্ধি করতে হবে। ৬ মাস মেয়াদি বিনা সুদে বিনা শর্তে কৃষি ঋণের ব্যবস্থা করতে হবে। কৃষি জমি অনাবাদি রাখলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
লেখকঃ লায়ন প্রভাষক মোর্শেদ হোসেন
২৮ এপ্রিল, ২০২০ খ্রিঃ