গ্রামীণ টাইমস: নতুন বছরের প্রথম দুই সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক বাড়ে ৫০৬ পয়েন্ট। পরের চার সপ্তাহে হারায় ৪২২ পয়েন্ট। জানুয়ারির ৫ তারিখে ২ হাজার ৫শ ৪৬ কোটি টাকার লেনদেন মাসের ব্যবধানে নেমে আসে ৬শ ৮৩ কোটিতে। প্রাতিষ্ঠানিক ও বড় বিনিয়োগকারীরা মুনাফা তুলে নেওয়ায় গতিশীল বাজারে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে বলে জানান, বিশ্লেষকরা। বরাবরের মতোই কারসাজি হলে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস নিয়ন্ত্রক সংস্থার।
দেশের পুঁজিবাজার নতুন বছরে নতুনভাবেই শুরু হয়েছিলো। সূচকে বড় উত্থানের পাশাপাশি লেনদেনও ছিলো উর্ধ্বমুখি।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের তথ্য বিশ্লেষনে দেখা যায়, জানুয়ারি তথা বছরের প্রথম সপ্তাহে ডিএসইএক্স বাড়ে ২১৯ পয়েন্ট। পরের সপ্তাহে আরও ২৮৭ পয়েন্টের উত্থানে ১০ কর্মদিবসে সূচক যোগ হয় ৫ শ পয়েন্টের বেশি। এরপরই শুরু হয় নিম্নমুখি প্রবণতা। তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ঠ সপ্তাহেও বজায় থাকে এ পতনের ধারা। ফলে শেষ ৪ সপ্তাহে ডিএসইএক্স কমে ৪২২ পয়েন্ট।
সূচকের ধারাবাহিকতা ছিলো লেনদেনও। জানুয়ারি প্রথম সপ্তাহের দৈনিক গড় লেনদেন হয়, প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা। এই ৫ কর্মদিবসের তৃতীয় দিনে লেনদেন হয় ২ হাজার ৫৪৬ কোটি টাকা। কিন্তু দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই কমতে থাকে লেনদেন। যা ধীরে ধীরে তা নেমে আসে ৭ কোটির ঘরে।
এ বিশ্লেষকের মতে জানুয়ারিতে পুঁজিবাজারে নতুন অর্থের প্রবাহের কারণে মূল্যসূচক ও লেনদেন ছিলো উর্ধ্বমুখি। তবে বড় ও প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারিদের একটি অংশ শেয়ার বিক্রি করে লাভ তুলে নিলে নিম্নমুখি হয় বাজার।
বিএসইসির এ কমিশনার জানালেন, শেয়ার লেনদেন পর্যবেক্ষণ করছেন তারা। কোনোধরণের কারসাজি হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চলতি বছরে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯১ পয়েন্ট সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে ১৫৫ কোটি টাকা।
-এমএসআইএস