গ্রামীণ টাইমস: ঘুমানোর সময় আপনার কি কোমরে বা পিঠে ব্যথা করে? কিংবা ঘুম থেকে উঠে হাত বা কোমর-পিঠে টান লাগে? তার মানে আপনার শোওয়ার ধরণ সঠিক নয়। বিশেষ করে বয়স বাড়লে সেই ব্যথাও বাড়তে থাকে। সেই কারণেই বেকায়দায় চোট লেগেছে আপনার। এতে চিন্তার কিছু নেই। এমনটা হতেই পারে অনেকের রাত্রিবেলা ঘুমানোর সময়। আমরা ঘুমের ঘরে অর্ধচেতন অবস্থায় থাকার ফলে কী পোজিশনে ঘুমাচ্ছি সেটা বুঝি না। সেই কারণেই এমন কিছু কৌশলে আমাদের রপ্ত করতে হবে যার জন্যে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় সহজেই।
১. বেশিরভাগ সময়েই আমরা সোজা হয়ে শুই। অর্থাৎ আমাদের পিঠ স্পর্শ করে বিছানা। এটা আপাতভাবে লাভজনক কারণ এতে মেরুদন্ড, গলা ও কাঁধ সমান্তরালে থাকে। কিন্তু যারা বয়স্ক তাদের জন্যে এটা খারাপ। কারণ পিঠের নীচের অংশে ব্যথা বা নাক ডাকার অভ্যেস থাকলে সেক্ষেত্রেও সমস্যা হতে পারে।
২. শরীরকে একপাশে করে শুলে বিশেষ করে বাঁদিক ঘেঁষে শুলে অনেক উপকারিতা আছে। রিসার্চ বলছে এটাই একদম সঠিক শোওয়ার ধরণ কারণ এতে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা যেমন জয়েন্ট ও পিঠের নীচের অংশে ব্যথা ও অনেক ক্রনিক ব্যথাও কমে যায়। এতে পরিপাক প্রক্রিয়া তাড়াতাড়ি ও সহজে হয় আর মস্তিস্ক সচল রাখতেও সাহায্য করে।
আরো পড়ুন- কারো গোপন কথা জমিয়ে রাখবেন না……….. কেনো?
৩. উপুড় করে শোয়াটা একেবারেই ভালো নয় ও ডাক্তারেরাও এটিকে এড়িয়ে যেতে বলেন। এর ফলে হাত, গলা, কাঁধে ব্যথা হয়ে যায় ও যাদের আগে থেকেই ব্যথা ছিল তাদের ব্যথা আরো বেড়ে যায়। যেহেতু এই পোজিশনে শরীরের বেশিরভাগ ওজন থাকে মধ্যেকার অংশে, তাই মেরুদন্ড সোজাভাবে থাকতে পারে না।
৪. আমরা অনেকেই হাঁটু মুড়ে ঘুমাই। হাত দুটি হাঁটুর কাছেই থাকে। গর্ভবতীদের ক্ষেত্রে ও পিঠের নীচের অংশে ব্যথার জন্যে এটা বেশ কার্যকরী। কিন্তু খুব জড়োসড়ো হয়ে শোয়াটাও খারাপ কারণ এতে জয়েন্টে চাপ পড়ে ও নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসে ব্যাঘাত ঘটে। রক্ত চলাচল করতেই সমস্যা হয়। তবে যারা ঘুমের ঘরে এভাবে শুতে অভ্যস্ত তাদের জন্যে মাথার নীচে একটা বালিশ ও তক্তা বা তোষক থাকা উচিত।
-এমএসআইএস